জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেছেন, পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। তিনি গত সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভ‚ইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময় দেশ। তিনি বলেন, পাট আমাদের দেশের সোনালী আঁশ। কিন্তু বিগত সরকারগুলো আদমজীসহ বড় বড় পাট মিলগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার পাটের ব্যবহার বাড়াতে বন্ধ হওয়া জুট মিল গুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। অচিরেই করিম জুট মিল চালু করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্রান্সসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অতিথিদেরকে পাটজাত পণ্য উপহার দেওয়া হয়। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পাটই ছিল আমাদের দেশের একমাত্র অর্থকরী ফসল। আমাদের দেশের উৎপাদিত পাটের টাকা দিয়ে পাকিস্তানে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পাট চাষকে উৎসাহিত করছে। তিনি পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াবার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। “সোনালী আশের সোনার দেশ, পাট পন্যের বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু নাছের। বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মোঃ আজিজুল হক, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ, পৌর কাউন্সিলর মোঃ মুরাদ খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পাট কর্মকর্তা মোঃ হাফিজ উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন রামরাইল ইউনিয়নের কৃষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভ‚ইয়া বলেন, পাট পরিবেশ বান্ধব পন্য। প্রতি উপজেলায় পাটচাষীদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি পাটচাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতি উপজেলাতেই ডিলারদের কাছে উন্নতমানের বীজ আছে। অপানারা উন্নতমানের বীজ বপন করে পাট চাষ করবেন। এর আগে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে কাউতলী মোড় ঘুরে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।