সরাইল প্রতিনিধি : | বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০১৭ | পড়া হয়েছে 306 বার
আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে হোটেল উজানভাটি। চোখে দেখা এই দূরত্বের মধ্যেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৮ টি তোরণ। এরমধ্যে বিভক্ত আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি তোরণই বেশি। একটি জাতীয় পার্টির। অনেকটাই স্থায়ী হয়ে গেছে এই তোরণগুলো। দিবস বা উৎসবকে সামনে রেখে তোরণের গায়ে লাগে শুধু নতুন ব্যানার। সরাইল বিশ্বরোড মোড়ের গোলচত্বরের দশাও একই। সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নানান রকম ব্যানার। (সরাইল-আশুগঞ্জ) এই দুই উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী এলাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকার হাল দশার ছাপচিত্র যেন ভেসে রয়েছে মহাসড়কের দুই গোলচত্বরে। মনোনয়ন পেতে মাঠে রয়েছেন বড় দুই দলের অনেক নেতা। তবে রেকর্ড সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের। এ দলের ১২/১৩ জন রয়েছেন মাঠে। বিএনপি’র রয়েছেন ৫ জন। আর জাতীয় পার্টির একজনই। কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির নেতা অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য। তবে এবার সুখে নেই তিনিও। তার জায়গা দখলে কড়া নাড়ছে ইসলামী ঐক্যজোট। এতজনের ভিড়ে আগামী নির্বাচনে কে পাচ্ছেন এ আসনে মহাজোট বা ২০ দলীয় জোটের মনোনয়ন- সেটাই এখন প্রধান আলোচনা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী সবাই একাট্টা দল থেকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে। এর কারণও আছে। দীর্ঘদিন মাঠ-ঘাট চষে বেড়ানো দলের নেতাদের মনোনয়ন ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়েছে বারবার। মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন মহাজোটের শরিক দলের নেতারা। এই অবস্থা শুধু আওয়ামী লীগের তা নয়, বিএনপি’রও । ৪ দলীয় জোট হওয়ার পর এই ধারার প্রথম বলি হন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ৪ বার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যকে বাদ দিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয় ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে। অবশ্য উকিল সাত্তারকে তখন প্রতিমন্ত্রী বানিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। পরের নির্বাচনগুলোতে এই ধারায় মনোনয়ন বিমুখ হন আওয়ামী লীগের নেতারা। এছাড়া দলীয় কোন্দলে পিছিয়ে আছে দলটি। এ কোন্দলে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তরুণ জনপ্রিয় নেতা একেএম ইকবাল আজাদ। ২০১২ সালের ২১ অক্টোবরে এ ঘটনার পর সরাইল আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। এখনো এই উপজেলায় খানে খানে বিভক্ত আওয়ামী লীগ।
২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন দেয়া হয় আওয়ামী লীগ থেকে। প্রয়াত ইকবাল আজাদের স্ত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) পান মনোনয়ন। মনোনয়ন পেয়ে মাঠে নামলে তাকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করা হবে এই আশ্বাসে আবারো জাতীয় পার্টির মৃধাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। বিএনপি না আসায় ওই নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পরোক্ষ সাপোর্টে মৃধার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির পত্নী নায়ার কবির। সরাইল ও আশুগঞ্জ আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ তখন তার নির্বাচন করে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয়ী হন মৃধা। অন্যদিকে শিউলি আজাদ ছাড় দিলেও তাকে বঞ্চিত করা হয় সবদিক থেকেই।
তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরো জটিল। মুফতি ফজলুল হক আমিনী সমর্থিত ইসলামী ঐক্যজোটের অংশটি রয়েছে এবার মহাজোটের সঙ্গে। সেই হিসেবে আমিনী পুত্র আবুল হাসানাত আমিনী পিতার আসনে মহাজোট প্রার্থী হবেন এমন আলোচনা রয়েছে। তাছাড়া মহাজোটের শরিক জেপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জামিলুল হক বকুলও মনোনয়ন চান এখানে। গত ২০-২৫ বছর ধরে ভোট রাজনীতিতে সক্রিয় তিনি। শুরুতে ছিলেন এরশাদের দলে। জাপা’র বিভক্তির পর চলে যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর দলে (জেপি)। এরপর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেপি’র মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে দলের নির্দেশে মহাজোট প্রার্থীকে সমর্থন দেন। আসছে নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজের অবহেলিত অসহায় দরিদ্র মানুষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন বকুল।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থীরা হচ্ছেন উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ), সাবেক ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন মঈন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক কামরুজ্জামান আনসারী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহজাহান আলম সাজু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান রতন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাড. মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন ও অ্যাড. সৈয়দ তানভীর হোসেন কাউসার। তানভীর সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রার্থিতার কথা জানান দিয়েছেন। তাকে নিয়ে একটি গ্রুপ মাঠে কাজ করছেন।
সংসদ সদস্য অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আসলে সতীনের ছেলে সব সময়ই মোটা হয়। আমি আওয়ামী লীগ নেতাদের যথেষ্ট সুযোগ দেই। এজন্যে জাপার নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। আসল কথা ১০ বছর এখানে নৌকা নাই। আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাই। স্বাভাবিকভাবেই তাদের মনমানসিকতা এমন হয়ে গেছে যে দলের প্রার্থী থাকলে ভালো হতো। মনোনয়ন দাবি করলেইতো চলবে না শেখ হাসিনা দেখবেন তিনি কিভাবে আবার ক্ষমতায় যেতে পারেন। কাকে কোথায় মনোনয়ন দিলে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে- এটাই তার মুখ্য উদ্দেশ্যে। যদি তাই না হতো তাহলে ২০১৪ সালের নির্বাচনে মোকতাদির চৌধুরীর মতো লোককে মনোনয়ন উইথড্র করার জন্য শেখ হাসিনা বলতেন না। কাজেই এখানে মামার বাড়ির আবদার বড় কথা নয়। এখানে জাতীয় পার্টির আমি একক প্রার্থী। যদি জোট বা সমঝোতা হয় আমি দু’বারের এমপি সেজন্যে আমার একটা অধিকার রয়েছে । তাছাড়া আমি কিন্তু রিলিফের এমপি না। ২০১৪ সালে আমি কিন্তু ভোটবিহীন নির্বাচিত হইনি। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে নির্বাচিত হই। তিনি বলেন, যদি অন্য কাউকে এখানে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলেতো আমাকে সন্তুষ্ট করে দিতে হবে।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার পর দলের স্বার্থে তা প্রত্যাহার করে। এরপর থেকে তিনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সরাইল-আশুগঞ্জের এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে তার পা পড়েনি। জনপ্রিয় নেতা একেএম ইকবাল আজাদের স্ত্রী হিসেবে সবার হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন নিজেকে। ভোটারদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন তিনি। শিউলী আজাদ বলেন, আমার মনে হয় নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন। দলের মনোনয়ন পাব। আমার স্বামী ইকবাল আজাদ মাঠ গুছিয়ে গেছেন। সে মাঠ আমরা চষে বেড়াচ্ছি। গত নির্বাচনে নেত্রী মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আবার দলের নির্দেশেই জোটের প্রার্থীকে ছাড় দেই। আশা করছি দল আমার ত্যাগ এবারও মূল্যায়ন করবে।
সাবেক ছাত্রনেতা মাঈন উদ্দিন মাঈন বলেন, এলাকার মানুষের দাবি বহিরাগত বা অন্যদলের কাউকে যাতে এবার প্রার্থী না করা হয়। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আশুগঞ্জকে সরাইলের সঙ্গে যুক্ত করে আসনটি পুনর্বিন্যাস করা হয়। তখন থেকেই মাঠে কাজ করছেন তিনি।
শাহজাহান আলম সাজু বলেন, এবার যদি এখানে লাঙ্গলকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে জান কোরবান করলেও কাজ হবে না। আমরা যুগ যুগ ধরে মাঠে কাজ করছি। হঠাৎ একজন পোস্টার লাগিয়ে প্রার্থী হয়ে গেল সেটাতো হয় না। ২০০৫ সালে আমি আশুগঞ্জে ৫০ হাজার লোকের সমাবেশ করে দেখিয়ে দিয়েছি। আমি বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। দেশের ১৫ লাখ শিক্ষকের নেতৃত্ব দেই । সেই হিসেবে আমার মনোনয়ন পাওয়ার দাবি জোরালো। কামরুজ্জামান আনসারী বলেন, আমাদের দলের প্রার্থী অনেক হলেও আমি মনে করি যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম। হত্যা মামলার আসামি, আন্ডার ম্যাট্রিক এবং সরকারি কর্মচারীও প্রার্থী আছেন এখানে। তাছাড়া একজন বহিরাগত প্রার্থীর লোলপ দৃষ্টি পড়েছে এই আসনে। তিনি এখানে অনেককে উসকে দিচ্ছেন বা উৎসাহ দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতন বলেন- বর্তমানে এই আসনে মহাজোটের এম.পি আওয়ামী লীগকে ভাঙার কাজই করছেন। এজন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন দলের ভালো প্রার্থী হলে অবশ্যই এখান থেকে পাস করবে। দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে গত ১০ বছরে যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ জমা হয়েছে কেন্দ্রকে সেটা মূল্যায়ন করতে হবে। আমি ১৯৯৬ সাল থেকে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত আছি। ব্যক্তিভাবে আমার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এলাকার মানুষকে আশাবাদী করেছে। আমি মনোনয়ন পেলে, নির্বাচিত হলে এলাকার প্রভূত উন্নয়ন ঘটাতে যে সক্ষম হবো সেটা তারা বুঝে গেছেন।
সরাইল আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন বলেন, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য ’৭৫ এরপর এখানে নৌকার বিজয় ঘটেনি। এখন মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছেন। তিনি নৌকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সেটা ভুলে গেছেন। উন্নয়ন-বরাদ্দ সব জাতীয় পার্টির লোকজনকেই দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার সবার জানা। জনগণ আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। সৈয়দ তানভীর হোসেন কাউসার বলেন, মনোনয়ন পাওয়ার দাবি সবার চেয়ে আমার বেশি। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান। সরাইলের সংঘাতময় যে পরিস্থিতি সেখানে আমার ইমেজ ক্লিন। তাছাড়া ২৪/২৫ বছর ওকালতির মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছি। তিনি বলেন, জোটের এম.পি থাকায় এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বলেন, আওয়ামী লীগ পাস করে না এই ধারণা পাল্টাতে হবে। তানভীরের পিতা সৈয়দ আকবর হোসেন বকুল মিয়া ও চাচা সৈয়দ আফজল হোসেনকে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে হত্যা করে পাকহানাদাররা।
বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে প্রচার-প্রচারণা এবং গণসংযোগ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মো: শামীম ও সরাইল উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (আনোয়ার মাস্টার)। মাঠে তৎপরতা চোখে না পড়লেও সরাইল বিএনপি’র সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. আবদুর রহমান, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ মনোনয়ন চাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ছাত্রদল-যুবদল থেকে এখন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উপজেলার সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন- আমি দলের দু’র্দিনে ছিলাম। ১/১১-তে গ্রেপ্তার হয়েছি। আওয়ামী লীগের আমলে যতরকম মামলা হয়েছে সবগুলোর আসামি আমি। আমি ছাড়া মাঠে আর কেউ নেই। ছাত্রদল থেকে বিএনপি’র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার পর এক সেকেন্ডের জন্য পিছপা হইনি। তাছাড়া আমিনীর সংগঠন সরে যাওয়ায় জোটের কোনো সমস্যা নেই। আমি মনে করি দল আমার মূল্যায়ন করবে। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মো. শামীমও সরাইল ও আশুগঞ্জের সর্বত্র প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি হাই কমান্ডের সিগন্যালেই মাঠে আছি। আমাকে কাজ করতে বলা হয়েছে। আমার অবস্থা ভালো। তাছাড়া সরাইল-আশুগঞ্জের প্রতিটি গ্রামে আমি ঘুরেছি। সর্বত্র আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে। আশা করি দল মনোয়ন দিলে আসনটি দলকে উপহার দিতে পারবো। অ্যাড. আবদুর রহমান বলেন, আমরা ছাড়া আর কে আছে। আমি ওভাবেই কাজকর্ম করছি। আবু আসিফ আহমেদ বলেন, দল মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করবো। সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন- আল্লাহ্র ইচ্ছা থাকলে আমি নির্বাচন করতে পারবো। এর বেশি আর কিছু বলার নেই।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |