অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | পড়া হয়েছে 678 বার
অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেওয়ার সেবা। গত রবিবার বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটরিয়ামে উদ্বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা কার্যক্রম দেশব্যাপী চালু করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল পুলিশের এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে হলে যা করতে হবে
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে হলে কিছু নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। সেগুলো হলো, আবেদনকারীর পাসপোর্টে উল্লিখিত স্থায়ী কিংবা বর্তমান ঠিকানার যেকোনও একটি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন কিংবা জেলা পুলিশের আওতাধীন এলাকায় থাকতে হবে। আবেদনকারীকে কিংবা যার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে, তাকে অবশ্যই ওই ঠিকানার বাসিন্দা হতে হবে।
বিদেশে অবস্থানকারী কোনও ব্যক্তির পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে হলে তিনি যে দেশে অবস্থান করছেন, সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি তার পক্ষে করা আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) ক্ষেত্রে যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে সেক্ষেত্রে ঠিকানার প্রমাণ স্বরূপ জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্রের ফটোকপি প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করে দাখিল করতে হবে।
যেভাবে আবেদন করতে হবে
বিদেশগামী বা বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশে বা দেশের বাইরে যেকোনও স্থান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে pcc.police.gov.bd ঠিকানায় অথবা বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে (www.police.gov.bd) গিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মেন্যুতে ক্লিক করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। কম্পিউটার কিংবা মুঠোফোনেও আবেদন করা যাবে। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় দলিলাদি এবং সরকারি ফি পরিশোধের চালান স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদনকারীর ব্যক্তিগতভাবে থানায়ও যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আবেদন ফরমের প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত বিস্তারিত তথ্য, দ্বিতীয় ধাপে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা পুরণ করতে হবে। তৃতীয় ধাপে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। পূরণকরা সকল তথ্য চতুর্থ ধাপে দেখা যাবে। আবেদনে কোনও ভুল থাকলে তা আগের ধাপগুলোতে গিয়ে সংশোধন করা যাবে। তবে চতুর্থ ধাপে আবেদনটি সাবমিট করার পর সংশোধনের আর কোনও সুযোগ থাকবে না। আবেদন ফরমের পঞ্চম ধাপে ফি পরিশোধ করার জন্য Pay Offline বাটনে ক্লিক করতে হবে। চালানের মাধ্যেমে ৫০০ টাকা ফি পরিশোধের উপায় এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সেখানে কিছু নির্দেশনা থাকবে। সেসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। চালানের মূল কপিটি আপলোড করার আগে অবশ্যই এর ওপর অ্যাপ্লিকেশন রেফারেন্স নম্বরটি লিখে দিতে হবে। অন্যথায় আপনার পেমেন্টটি গ্রহণযোগ্য হবেনা এবং আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।
আবেদনকারী তার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা অনলাইনে নিয়মিত জানতে পারবেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর, পুলিশ সুপার কিংবা উপ-পুলিশ কমিশনারের প্রতিস্বাক্ষর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন হওয়ার পর আবেদনকারী ব্যক্তিগতভাবে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় অথবা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিস কাউন্টার থেকে হাতে হাতে নিতে পারেন। কুরিয়ার বা ডাকে পেতে চাইলে আবেদন করার সময় উল্লেখ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ডাক বা কুরিয়ার ফি পরিশোধ সাপেক্ষে আবেদনকারী ঘরে বসে সার্টিফিকেট পেতে পারেন।
অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে একটি কিউআর কোড প্রিন্ট করা থাকে। যে কোনও স্মার্ট ফোন থেকে কিউআর কোড স্ক্যানার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে কোডটি স্ক্যান করলে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের একটি অনলাইন লিংক পাওয়া যাবে। যেকোনও ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করে লিংকটি ভিজিট করলে ইস্যু করা সার্টিফিকেটের একটি অবিকল ডিজিটাল কপি কম্পিউটারে দেখা যাবে। ফলে এখন থেকে ইস্যুকৃত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জাল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না এবং যে কোন বিদেশি মিশন অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যাচাই করতে পারবে।http://pcc.police.gov.bd/en/
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |