প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৬ | পড়া হয়েছে 1056 বার
গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলে হাওড়া ও বিজনা নদীর মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে ডুবিয়ে দিয়েছে এসব ধানি জমি।
জমিতে আধা পাকা ধান। সপ্তাহ দু’য়েক পরেই এসব ধান ঘরে তুলেতে পারতো কৃষক।
ধান ঘরে তোলার আনন্দের বদলে এমন সর্বনাশ হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, কসবা ও সদর উপজেলার একাংশের কৃষকদের। তিনটি উপজেলার কয়েকটি বিলের এক হাজার হেক্টর ইরি ও বোরো ধানের জমি এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন অন্তত দুই হাজার কৃষক।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নিরুপায় হয়ে জমিতে থাকা আধা-পাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে সরকারের কোনো মহলই তাদের সহযোগিতা এমনকি কোনো ধরনের খোঁজ খবরও নিচ্ছেন না।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওর অঞ্চলে মোট ৩২ হাজার হেক্টর এক ফসলি নিচু জমি রয়েছে। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে এক হাজার হেক্টরেরও বেশি কৃষি জমি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু নাছের বলেন, নদীগুলোর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে যেহেতু ১০/১৫ দিন আগেই কৃষকদের ধান কেটে ফেলতে হয়েছে, সেহেতু তাদেরকে সহায়তা করা হবে। তাদের ভর্তুকির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতার ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |