ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : | শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | পড়া হয়েছে 850 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত টাউন খালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম(বার)। গত (২৮ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি খালপাড়ের থানা ঘাট থেকে নৌকা দিয়ে খালের শেষপ্রান্ত পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট পর্যন্ত পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি খালটির বিভিন্ন অংশ ভরাট করে দখল হয়ে যাওয়ায় মর্মাহত হন। তিনি খালটিকে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে খালের দু’পাড়ের বাসিন্দাদের আহবান জানান।
পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাধারন দীপক চেীধুরী বাপ্পী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক শফিুকুল ইসলাম, খন্দকার শফিকুল আলম, মুজিবুর রহমান,ফটো সাংবাদিক জুয়েলুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে দীর্ঘদিনপর খালটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করায় আশাবাদী হয়ে উঠছে শহরবাসী। খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করবে। মাছের অভয়ারণ্য হবে এই খাল। টলটল করা খালের পানিতে দেখা যাবে নিজের মুখ। খালের দুইপাড়ে হাঁটা চলার উপযোগি পথ থাকবে, যেখানে লাগানো থাকবে ফুল-ফলের গাছ, এমনটিই আশা করছেন খালপাড়ের বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর খালটি শতবছরের পুরানো একটি ঐতিহ্যবাহি খাল। শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত খালটি শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতো। বর্ষকালে খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করতো। এই পানিতে গোসল করাসহ গৃহস্থালী সকল কাজ করতো খালপাড়ের বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে খালটি বর্তমানে মৃত প্রায়। খালের বিভিন্ন অংশে পাড়সহ খালের জায়গা দখল করে স্থায়ী ইমারত নির্মান করেছে প্রভাবশালীরা। এছাড়াও খালপাড়ের বাসিন্দা, শহরের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানীরা, বিভিন্ন হোটেল থেকে থেকে রাতের বেলা ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালের বিভিন্ন অংশে তলদেশ অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। ভরা বর্ষায়ও খালে এখন আর আগের মতো পানি আসেনা, বন্ধ হয়ে গেছে নৌ-চলাচলও।
খালের এই অবস্থা দেখে খালটিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগ গ্রহণ করে পুলিশ প্রশাসন। পৌরসভার সহায়তায় গত ৯ সেপ্টেম্বর খালটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করে জেলা পুলিশ। গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি খালটি পরিষ্কার করার জন্য ১ লাখ টাকা অনুদানও দেন। উদ্বোধনী দিন থেকেই খালটির শহরের টান বাজার প্রান্ত থেকে পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার খালটিতে থাকা কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে এর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য শতাধিক শ্রমিক কাজ শুরু করে। বর্তমানে খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করা হলেও খালে প্রচুর ময়লা আবর্জনা রয়েছে।
এদিকে শহরবাসী খালের বিভিন্ন অংশ প্রভাবশালীদের হাত থেকে দখলমুক্ত করে, খালটিকে খনন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে বিনোদন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |