বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি : | মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০১৭ | পড়া হয়েছে 701 বার
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থান ভেঙে উঁচু–নিচু হয়ে আছে। এর ওপর দিয়ে গাড়িতে চলাচল করতে গিয়ে যাত্রীদের শরীর ব্যথা হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় গাড়ির যন্ত্রাংশ। এক স্থান থেকে অন্য স্থান যেতে সময় লাগে বেশি। এই দুরবস্থা জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফেরিঘাট- বাঞ্ছারামপুর – নবীনগর সড়কের। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার পাঁচ লাখ মানুষ। কাছের গন্তব্যের পাশাপাশি এই সড়ক দিয়ে অনেকেই ঢাকা আসা-যাওয়া করে। সড়কের খারাপ অবস্থা সম্পর্কে বাঞ্ছারামপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ‘বাঞ্ছারামপুর থেইক্কা নবীনগরে একবার গেলে শরীরে ব্যথা হইয়া যায়। এমন ভাঙা রাস্তা দিয়া বয়স্ক মানুষের চলাচল আরো কষ্টের। পিকআপচালক সোহেল রানা বলেন, ‘রাস্তাডার অবস্থা এতই খারাপ যে নবীনগর থেইক্কা বাঞ্ছারামপুর ফেরিঘাট যাইতে তিন ঘণ্টা সময় লাইগা যায়। আগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগত। রাস্তার দুরবস্থার কারণে কয়েক দিন পরপর গাড়ি মেরামতের কাজও করাইতে হয়।’ অটোরিক্সাচালক হাসেম মিয়া বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর থেকে নবীনগর যাইতে ১০ কিলো মিটারের বেশি গাড়ির গতি দেওয়া যায় না। রাস্তা ভাঙা থাকায় গাড়ির যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি শরীরের অনেক জায়গায় ব্যথা হয় প্রতিনিয়ত। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) বাঞ্ছারামপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি ফেরিঘাট এলাকা থেকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদর হয়ে নবীনগর উপজেলার কোনাঘাট পর্যন্ত ফেরিঘাট-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়কের দৈর্ঘ্য ৩৬ কিলোমিটার। এর প্রস্থ ১২ ফুট। এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পিকআপ, মাইক্রোবাস, অটোরিক্সা, ইজিবাইকে যাতায়াত করে। ব্যবসায়ীরা ট্রাক ও পিকআপে পণ্য পরিবহন করেন। এর মধ্যে বাঞ্ছারামপুরের ফতেপুর থেকে নবীনগর উপজেলার রসুলাবাদ ইউনিয়নের রসুলাবাদ গ্রাম পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ভাঙাচোরা। এ ছাড়া সড়কটির কড়িকান্দি ফেরিঘাট থেকে বাঞ্ছারামপুরের ফতেপুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এবং নবীনগর উপজেলার রসুলাবাদ ইউনিয়নের সোয়া কিলো মিটারের বেশি অংশ ভাঙাচোরা থাকলেও এই অংশ সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়িভেলা নগর গ্রামের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে মাছিমনগর, ছয়ফুলা কান্দি বাজার হয়ে কাঞ্চনপুর মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটারে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দড়িকান্দি গ্রামের পশ্চিম প্রান্ত থেকে জীবনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত, নবীনগর উপজেলার জলী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোড় থেকে বানিয়াচং, শ্যামগ্রাম হয়ে রসুলাবাদ পর্যন্ত কিছু কিছু অংশ যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রসুলাবাদ ঈদগাহ মোড় থেকে (সোয়া কিলোমিটার বাদ দিয়ে) দড়িশ্রীরামপুর বাজার হয়ে কোনাঘাটের পূর্ব পর্যন্ত সড়কও খানাখন্দে ভরা। নবীনগরের শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বলেন, ‘তিন বছর ধরে বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়কের অবস্থা খুব খারাপ। বিষয়টি আমাদের এম.পি’কে কয়েকবারই জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সওজ বাঞ্ছারামপুর অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফায়েজুল ইসলাম বলেন, কড়িকান্দি ফেরিঘাট থেকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফতেপুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার ও নবীনগর উপজেলার রসুলাবাদ ইউনিয়নের ১ হাজার ৩০০ মিটার সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শীঘ্রই এই অংশের সংস্কার কাজ শুরু হবে। আর বাকি ১৪ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য সওজের প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই প্রস্তাব অনুমোদন হলে দরপত্র আহ্বান করে সংস্কার করা হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |