ডেস্ক ২৪ | বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | পড়া হয়েছে 1245 বার
ভাষা আন্দোলনের সৈনিক অধ্যাপক শাহজাহান চৌধুরীকে সরকারি ভাবে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের স্বপ্ন দেখে এখনও দিন গুনছে তাঁর পরিবার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের অধ্যাপক শাহজাহান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র থাকাকালীন সময়ে নবীনগরে সর্বদলীয় ভাষা সংগ্রাম কমিটির প্রতিবাদ কর্মসূচি ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৩ সালের ১৫ জুলাই নবীনগরে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিন স্থানীয় হাই স্কুল মাঠে এক জনসভায় ভাষণ দেয়্রা সময় ভাষার দাবিতে তাকে কালো পতাকা প্রর্দশন করলে পুলিশ ঐদিন তাকে গ্রেফতার করে। এছাড়া ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে তৎকালীন সরকার ১৯৫৫ সালে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় জেলখানায় কারাবন্দি করে। কারাগারে থেকেই তিনি অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) সাবসিডিয়ারী পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখানে তাঁর সাথে আরও কারাবন্দি ছিলেন বর্তমান অর্থ মন্ত্রী এম, এ, মুহিত, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্ত্রাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সারোয়ার হোসেন প্রমুখ। অধ্যাপক শাহ জাহান চৌধুরী ১৯৯৩সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে অবসর নেয়ার পর কুষ্ঠিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় বছর সুপার নিউ মারারী অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আজীবন প্রচার -বিমুখ এই ভাষা সৈনিক ও শিক্ষাবিদ অনেকটা নীরব অভিমানে গত বছরের ৭ অক্টোবর ৭৯ বছর বয়সে কুমিল্লার বাস ভবনে পরকালে পাড়ি জমান।
মরহুমের পরিবারের পক্ষ তার স্ত্রী জিন্নাতুন নাহার এখনো আশা করছেন অধ্যাপক শাহ জাহান চৌধুরীকে বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষ্ াসৈনিক হিসেবে মরনোত্তর স্বীকৃতি প্রদান করবেন ।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |