শামীম-উন-বাছির | বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০১৯ | পড়া হয়েছে 546 বার
মানসিক বিকারগ্রস্ত মায়ের সাথে ঝগড়া-ঝাটি করে মা চাঁনতারা বেগম-(৪৫) কে বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মেয়ে তানিয়া আক্তার- (১৬)। গত সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সাংবাদিকদেরকে এই তথ্য জানান।
এর আগে গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জাহিদ হোসাইনের আদালতে মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় কিশোরী তানিয়া। এ ঘটনায় চাঁনতারা বেগমের ভাই জাকির হোসেন বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত চাঁনতারা বেগম নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী। তারা সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে একজনের আশ্রয় দেয়া জায়গায় একটি ঘর তুলে বসবাস করতেন।
এর আগে গত শনিবার সকালে বিরামপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে তিন সন্তানের জননী চাঁনতারা বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, গত প্রায় ১৮ বছর আগে জেলার নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘর গ্রামের খলিল মিয়ার সাথে একই উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের চানতাঁরা বেগমের বিয়ে হয়। সেমন্তঘর গ্রামে তাদের নিজের ঘর না থাকায় তারা সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে একজনের জায়গায় ঘর তুলে বসবাস করতো। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে হাসান- (১৪), আবু সাঈদ-(৮) নামে দুই ছেলে ও তানিয়া আক্তার-(১৬) নামে এক মেয়ে রয়েছে।
গত দুই বছর আগে তাদের বড় ছেলে হাসান হারিয়ে গেলে চাঁনতারা বেগম আস্তে আস্তে মানসিক বিকারগস্ত হয়ে যায়। মাঝে-মধ্যে নিজে নিজে কথা বলতেন এবং বাড়ির বাইরে চলে যেতেন। এতে করে তার মেয়ে তানিয়ার সাথে তার প্রায়ই ঝগড়া-ঝাটি হতো।
গত ২ নভেম্বর ভোরে খলিল মিয়া ফজর নামাজ পড়তে মসজিদে যায়৷ এ সময় মেয়ে তানিয়া ঘুম থেকে জেগে দেখেন মা চাঁনতারা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। মেয়ে মাকে টেনে এনে ঘরে বসাতে চাইলে মা হাতে বটি দা নিয়ে “নে আমারে মাইরালা” তখন মেয়ে তানিয়া রেগে গিয়ে বটি দা দিয়ে মায়ের গলায় টান দিয়ে হত্যা করে। পরে তার মা আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলমগীর হোসেন, ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আহমেদ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ধর্মজিৎ সিংহ।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |