| বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | পড়া হয়েছে 619 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ স্টেশনে দুর্ঘটনার পর থেকেই এগিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। ভোর থেকেই মসজিদের মাইকের ঘোষণা দিয়ে সহযোগিতার কথা বলা হয়। শুরুতে স্টেশনের সামনে থাকা পিকআপ ভ্যান দিয়ে আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়।
রেললাইনের পার্শ্ববর্তী চান্দখোলা গ্রামের মো. সালাম বলেন, ‘বিকট শব্দে ঘুম ভাঙলে স্টেশনের দিকে ছুটে আসি। বাপ্পীসহ আরো কয়েজনের পিকআপ ভ্যানে করে আহতদের হাসপাতালে পাঠাই।’ চারুয়া গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন জানান, এলাকার অনেক লোকজন উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে যায়। বায়েক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কসবা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ভোগের শিকার যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থাও করা হয়।
আহতদেরকে রক্তদানের জন্য ছুটে আসেন অনেকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মো. শাহ আলম জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে ১২ জনকে রক্ত দেয়া হয়েছে। সংস্কৃতিকর্মী আব্দুল বাছির দুলাল জানান, তিনি এক বৃদ্ধকে রক্ত দিয়েছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়ত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা চালানো হয়।’ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, উদ্ধার কাজসহ অন্যান্য বিষয়ে তদারকি করে পুলিশ। সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পাঁচটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে সর্বাত্মক সেবাদানের নির্দেশনা দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম জানান, ট্রেনের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জানান, কসবার বাসিন্দা আইনমন্ত্রী আনিসুল নির্দেশনায় তাঁরা দুর্গতদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
(বিশ্বজিৎ পাল বাবু)
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |