নিজস্ব প্রতিবেদক : | বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 256 বার
দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম ও প্রকাশক সালমা ইসলামের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০০ কোটি টাকার মানহানীর মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তি রাণী রায়ের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা জজ কোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন স্বপন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা জেলা তথ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার সাক্ষীরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, দৈনিক যুগান্তরের সাবেক জেলা প্রতিনিধি মনির হোসেন, জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ আবদুল কবির তপন. আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, অ্যাড. কাজী এখলাছুর রহমান, অ্যাড. এমদাদুল হক চৌধুরী, অ্যাড. মো. আক্কাছ আলী। মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার ১নং সাক্ষী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সুনাম ও ঐক্য বিনষ্ট করার হীন মানষে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অসৎ উদ্দেশ্যে গত ১২.১১.২০১৬ ইং তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘নাসিরনগরে হামলা পেছনে মোকতাদির সমর্থকরা : দলীয় কোন্দলই কারণ’ শিরোনামে আসামিরা সংবাদ প্রকাশ করে। যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি প্রতারণামূলক। এতে সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী তথা জেলা আওয়ামী লীগের ১০০ কোটি টাকার মানহানী করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলার বাদী অ্যাড. গোলাম মহিউদ্দিন স্বপন সাংবাদিকদের জানান, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা তথ্য কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১২.১১.২০১৬ ইং তারিখে দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতায় ‘নাসিরনগরে হামলা পেছনে মোকতাদির সমর্থকরা : দলীয় কোন্দলই কারণ’ শিরোনামে জেলা প্রতিনিধি মনির হোসেনের নামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।তিনি সংবাদটি করেন নাই বলে অস্বীকার করেন।সংবাদ প্রকাশের পর রোববার (১৩ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মনির হোসেন পত্রিকাটি থেকে পদত্যাগ করেন। ওই সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মনির হোসেন সামাজিক, পারিপার্শি¦ক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও পদত্যগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |