নিজস্ব প্রতিবেদক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া | সোমবার, ২২ আগস্ট ২০১৬ | পড়া হয়েছে 927 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে যৌতুকের দাবিতে বিয়ের তিন মাস পর নিলুফা আক্তার তনু-(১৯) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
তনুর স্বামী আহমদ আলী-(৩২) ও তার পরিবারের লোকজন তাকে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তনুর পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের দিঘীরপাড় এলাকায়। খবর পেয়ে রাত ৯টায় পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর পরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বামীর বাড়ির লোকজন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত ১০ মে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়া পাড়া গ্রামের চান মিয়া মুন্সির কন্যা নিলুফা আক্তার তনুর সাথে একই উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের দিঘীরপাড় এলাকার আহাদ আলীর প্রবাস ফেরত ছেলে আহমদ আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তনুর পিতা যৌতুক বাবদ বর আহমদ আলীকে ফার্ণিচার ও স্বর্ণলঙ্কার সহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল দেয়। বিয়ের মাত্র ২ মাসের মধ্যে এগুলো বিক্রি করে ফেলে আহমদ আলী। এরপর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে তনুকে নির্যাতন শুরু করে আহমদ আলী।
সম্প্রতি সে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে তনুকে তার বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে প্রায় ২০ দিন আগে আহমদ আলীকে ১ লাখ টাকা প্রদান করে তনুর পিতা। কিন্তু তার চাহিদা মতো আরো ২ লাখ টাকা এনে দিতে তনুর উপর নির্যাতন করতে থাকে আহমদ আলীসহ তার পরিবারের লোকজন। গত ১০ আগষ্ট তনুকে নিয়ে শ্বশুড় বাড়িতে বেড়াতে আসে আহমদ। একদিন পর স্ত্রীকে টাকার জন্য রেখে বাড়ি চলে যায় সে।
গত বৃহস্পতিবার তনুর জাঁ সাবিনা বেগম স্বামীর অসুস্থ্যতার কথা বলে তনুকে বাড়ি নিয়ে যায়। গত রবিবার বিকেলে দুই লাখ টাকার জন্য আহমদ আলী তনুকে বেদম মারধোর করে। পরে তনু অসুস্থ্য হয়েছে বলে তনুর বড় ভাইয়ের কাছে মোবাইলে ফোন করে আহমদ। সন্ধ্যার পর তনুকে হত্যার খবর পায় তার বাবার বাড়ির লোকজন। পরে তারা তনুর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় তনুর লাশ।
নিহতের বড় বোন রুবি আক্তার বলেন, আমার বোনকে যৌতুকের টাকার জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এ ব্যাপারে সরাইল থানার সহকারি পরিদর্শক (এস. আই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আমরা লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |